-
বাংলাদেশ অপটিক্যাল ফাইবার ,ফাইবার অপটিক
সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে স্থাপিত আন্তঃমহাদেশীয় ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনের সাথে ২০০৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সংযুক্ত হয়।১৬টি দেশ নিয়ে গঠিত SEA-ME-WE4 প্রজেক্টের অংশ হিসেবেবাংলাদেশ এই সংযােগ পায় এবং বঙ্গোপসাগরের নিচ দিয়ে বিস্তৃত এই ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করা হয় কক্সবাজার শহরে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে প্রাপ্ত হাই স্পিড ইন্টারনেট সারা দেশে ছড়িয়ে দেবার উদ্যোগ নেয়া হয় বাংলাদেশে সংযুক্ত এই সাবমেরিন ক্যাবল কানেকশন সাবমেরিন ক্যাবল-১ নামে পরিচিত।
-
ফাইবার অপটিক ক্যাবল সম্পর্কে
সিলিকা, কাঁচ অথবা প্লাস্টিক এর এক ধরণের পাতলা স্বচ্ছ তন্তু (সুতা) দিয়ে তৈরি শক্তিশালী মাধ্যম যার মধ্যে দিয়ে আলাের গতিতে ডেটা আদান-প্রদান করা যায় তাকে ফাইবার অপটিক বা অপটিক্যাল ফাইবার বলা হয়। ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল অত্যন্ত দ্রুত ডেটা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে অপটিক্যাল ফাইবার কাজ করে। এ ক্যাবলের বিশেষত্ব হলাে, এটি ইলেক্ট্রনিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলােক বা লাইট সিগন্যাল ট্রান্সমিট করে। আর এ কাজে ব্যবহৃত হয় ফাইবারের অভ্যন্তরে গ্লাস বা প্লাস্টিক কোর।
এ ক্যাবলের। মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হয়। এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলাে এটি ইনফ্রারেড আলাের রেঞ্জের মধ্যে (১৩০০nm-১৫০০nim) অতিরিক্ত স্বচ্ছ হওয়ার ফলে আলাে পরিবহনের সময় এতে কোনাে শােষণ হয় না। ফলে বিশেষ কোনাে ক্ষতি ছাড়াই এর মধ্য দিয়ে সিগন্যাল দীর্ঘ।দূরত্ব পর্যন্ত ট্রান্সমিট করা সম্ভব হয়ে থাকে। অপটিক্যাল ফাইবারের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি সিগন্যাল পাঠানাে সম্ভব। এতে একসাথে কয়েক লক্ষ টেলিফোন কল পাঠানাে সম্ভব। বিপুল পরিমাণ ডেটা পরিবহণে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় ফাইবার অপটিক্যাল স্থাপিত হয়েছে। এ ধরনের ফাইবারকে সাবমেরিন ক্যাবল বলা হয়। নন-মেটালিক ক্যাবল মাধ্যম হলাে অপটিক্যাল ফাইবার।
-
অপটিক্যাল ফাইবার এর গঠন
অপটিক্যাল ফাইবারের ৩টি স্তর থাকে। যথা- কোর (Core), ক্ল্যাডিং (Cladding) এবং জ্যাকেট (Jacket)
১. কোর (Core) : কোর হলাে সবচেয়ে ভেতরের স্তর, যার মধ্য দিয়ে আলােক সিগন্যাল সঞ্চালন করে। এটি সিলিকা। মাল্টিকম্পােনেন্ট কাচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। কোরের ব্যাস ৮ থেকে ১০০ মাইক্রোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।[১ মাইক্রোমিটার/মাইক্রোন।= ১০ মিটার)।
২.ক্ল্যাডিং (Cladding):কোরকে ঘিরে থাকা বাইরের স্তরটি হচ্ছে ক্ল্যাডিং, যা কাচের তৈরি। এটি কোর থেকে নির্গত আলােকরশ্মি প্রতিফলিত করে তা পুনরায় কোরে ফেরত পাঠায়। এ স্তরটি ক্ল্যাডিং নামে পরিচিত। ক্ল্যাডিং-এর ব্যাস ১২৫ মাইক্রোমিটার।
৩, জ্যাকেট (Jacket) : প্রতিটি ক্ল্যাডিং-এর উপর প্লাস্টিক দিয়ে মােড়ানাে আবরণটিকে জ্যাকেট (Jacket) বলা হয়। এটি ফাইবার অপটিক তারকে ঘর্ষণ, মরিচা, জলীয়বাষ্প থেকে রক্ষা করে। এখানে ব্যবহৃত প্লাস্টিক উপাদানসমূহের মধ্যে রয়েছে PVC (Polyvinyl Chloride), পলিইথিলিন (Polyethylene), পলিইউরেথিন (Polyurethane), পলিয়ামাইড (Polyamide) ইত্যাদি।
কিছু কথা
অনলাইন টিচ বিডি ওয়েবসাইট টি নতুন ওয়েবসাইট ওয়েবসাইটে সাধারণ নিউজ রিভিউ এবং নানান ধরনের টিক রিলেটেড পোস্ট করা হয় এটি একটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট
যদি আপনাদের কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে আপনার প্রশ্নটিই করবেন আমরা সেই সম্পর্কে পোস্ট করা যথাযথ চেষ্টা করব